এদিকে জারাগোজা শহরে শৈত্যের কবলে পড়ে এক গৃহহীন ভবঘুরের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ সূত্র। পাশাপাশি ফুয়েঞ্জিরোলা শহরে নদীর পানির তোড় ভাসিয়ে নিয়ে যায় এক দম্পতিকে। গাড়ির মধ্যে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই পরিস্থিতিতে লাল সতর্কতা জারি করেছে সরকার। গত ৪০ বছর আগে থেকে এই সতর্কীকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হলেও এতদিন তা প্রয়োগ করার দরকারই পড়েনি। এমন নজিরবিহীন পরিস্থিতিতে ঝড়ে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে সেনার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে আরও বিপদের আশঙ্কা করছেন দেশের পরিবহণ মন্ত্রী জোস লুইস বালোস। তার কথায়, ‘‘তুষার এবার বরফে পরিণত হবে। ফলে এই মুহূর্তের যা অবস্থা, তার থেকেও আরও খারাপ হতে পারে পরিস্থিতি। আমাদের পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে ঝড়ের তীব্রতা।’’ এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যাতে খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবায় কোনো ছেদ না পড়ে সেদিকে নজর রাখার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। তবে এরই মধ্যে তুষারপাতের আনন্দে মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে অনেককেই। মাদ্রিদের এক স্কি ক্লাবের কোচ লুকা ভালস জানাচ্ছেন, প্রতি বছরই তিনি তার সঙ্গীদের সঙ্গে ফারাওয়ে পাহাড়ের উপরে যান স্কি করতে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অভাবনীয়। বলতে গেলে বরফ এখন একেবারে দোরগোড়ায়। সে কথা জানাতে গিয়ে তিনি কার্যত উল্লসিত, ‘‘এমনটা অভাবনীয়। দারুণ উপহার! এর আগে কখনও বরফের সামনে দাঁড়িয়ে এত ছবি তুলিনি।’’ ফলে, তুষারঝড় একইসঙ্গে আশীর্বাদ এবং অভিশাপ দুই ভূমিকাতেই অবতীর্ণ হয়েছে স্পেনে।